যোগী-রাজ্যে ‘অনাচার’, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনে ইঞ্জিনিয়র গ্রেফতার

যোগী-রাজ্যে ‘অনাচার’, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনে ইঞ্জিনিয়র গ্রেফতার

যোগী-রাজ্যে ‘অনাচার’, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনে ইঞ্জিনিয়র গ্রেফতার
যোগী-রাজ্যে ‘অনাচার’, নাবালিকাদের যৌন নির্যাতনে ইঞ্জিনিয়র গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ। এবার ১০ বছর ধরে ৫০ জনেরও বেশী নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন এবং তাদের আপত্তিকর ভিডিও ডার্ক ওয়েবসাইটে পোস্ট করায় যোগী রাজ্যের সেচ বিভাগে কর্মরত এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলায়। সিবিআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের নাম হল রামভুবন। ওই জেলারই বাসিন্দা সে। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশ সরকারের ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রামভুবন ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। এতদিন ধরে সে উওরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলা সহ পার্শ্ববর্তী বান্দা, হামিরপুর সহ একাধিক জেলার অন্তত ৫০ জন নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন যৌণ নির্যাতন করে আসছিলো। এছাড়াও তাদের আপওিকর ভিডিও গুলি মোবাইল, ল্যাপটপ বা পেনড্রাইভে সেভ করে পরে তা ডার্ক ওয়েবে ছেঁড়ে দিতো সে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) এর নজরে আনা হয়েছিল। এরপরে ইউপির বান্দা, চিত্রকুট ও হামিরপুর জেলায় বহু নাবালিকা যৌণ নির্যাতনের অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই-এর কাছে রামভুবনের নাম উঠে আসে। তারপরই মঙ্গলবার চিত্রকূট জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই আধিকারিকরা।

সিবিআই সূএে খবর, অভিযুক্ত রামভুবন শিশুদের যৌন নির্যাতনের ছবি, ভিডিও রেকর্ড করে তা ফিল্মের মতো বানিয়ে ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ডার্ক সাইটে বিক্রিও করতেন। এছাড়া সেগুলি আরও অনেকের কাছে শেয়ার করে দিতেন।
মঙ্গলবার সিবিআই এর আধিকারিকরা অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে তাঁরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ওয়েব-ক্যামেরা, পেনড্রাইভ, মেমরি কার্ড এবং বেশ কয়েকটি যৌন খেলনা সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক স্টোরেজ ডিভাইসের সহ নগদ আট লাখ টাকা উদ্ধার করেন।

সিবিআইয়ের তরফে আরও দাবি করে বলা হয়েছে যে, মূল অভিযুক্ত রামভুবন সহ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকেই এই ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট গুলি ব্যবহার করে ৫-১৬ বছর বয়সী নাবালিকাদের তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করত। আর এই ধরনের জঘন্য কাজ সে ১০ বছর ধরে করে আসছিলো।

অভিযুক্তের ইমেল গুলি খতিয়ে দেখে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, তিনি শিশুদের যৌন নির্যাতনের ভিডিও গুলি শেয়ার করার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির (ভারতীয় ও বিদেশী উভয় নাগরিক) সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ভাবে যোগাযোগ রাখছিলেন। অভিযুক্তরা বছরের পর বছর ধরে ডার্ক ওয়েব সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রচুর পরিমাণে শিশু নির্যাতনের ভিডিও তৈরি ও তা অনেকের সঙ্গে শেয়ার করেছেন বলে অভিযোগ।

এদিকে শিশুদের যৌন হয়রানি এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়তে নয়াদিল্লিতে সিবিআই-এর তরফে “অনলাইনে শিশুদের যৌন নির্যাতন ও শোষণ প্রতিরোধ / তদন্ত (ওসিএসএই)” তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন রেফারেন্স এবং তথ্য গ্রহণ ছাড়াও ইউনিট’টি অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন ও শোষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত চালাচ্ছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৮ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply